লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের পাঁচমাথা বাজার এলাকার সেই ভিক্ষুক নইমুদ্দিন মৃত্যুরবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর সকালে নিজ বাড়িতে বার্ধক্য জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
জানাগেছে, মসজিদে জমি দান করে সমাজে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই ভিক্ষুক খইমুদ্দিন (৮৫) ও স্ত্রী হামিজোন বেগম (৭৩)। এই ভিক্ষুক দম্পতি জীবনের বেশির ভাগ সময় একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে কাটিয়েছেন। গত দুই বছর আগে স্থানীয় যুবকরা তাদের একটি আধপাকা ঘর তৈরি করে দিয়েছেন।
এই ভিক্ষুক দম্পতির বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের দক্ষিণ গোপাল রায় গ্রামে (পাঁচমাথা)। বৃদ্ধ খইমুদ্দিন প্যারালাইস রোগী ছিলেন। আর তার স্ত্রী হামিজোন বেগম প্রতিদিন গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করেন।
প্রতিদিনের ভিক্ষার চালে চলে তাদের সংসার। একদিন ভিক্ষা না করলে খাবার জোটে না। অনেক সময় অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কেটে যায়। ওই দম্পতি নিঃসন্তান। সম্পদ বলতে বাড়ি ভিটার ৪ শতাংশ জমি। এই শেষ সম্বলটুকু গত কয়েক বছর আগে গ্রামের স্থানীয় নিত্যির দিঘি জামে মসজিদে দান করে দিয়েছেন তারা। তাদের এমন দান সমাজে বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।